রবিবার | ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১

অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা, স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের লালপুর উপজেলায় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই ২০২৪) আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে নাটোর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কুষ্টিয়া কুমারখালীর নগর সাওতা গ্রামের মৃত আজমত খাঁ গাদলার ছেলে মো. আলমগীর হোসেন আলম (৪৫), তাঁর বর্তমান ঠিকানা লালপুর উপজেলার মোহরকয়া গ্রামের শ্বশুর মৃত আলতাব হোসেনের বাড়ি। তিনি মোছা. আনফিরা খাতুন ফিরোজার স্বামী। তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার কুমারখালি, পাবনার ঈশ্বরদী এবং আমিনপুর থানায় ডাকাতি, অস্ত্র, অপহরণ ও চুরিসহ ১৫টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এ ছাড়া রাজশাহী চারঘাটের হাবিবপুর (তোয়াজের মোড়) গ্রামের মো. লুৎফর প্রামানিকের ছেলে মো. রানা (২৩) এবং পাবনা ঈশ্বরদীর মাজদিয়া গোপালপুর গ্রামের মো. সিরাজুল ইসলাম ভোলার ছেলে মো. তৈয়ব আলী প্রামানিক (৩০)।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৩০ জুন ২০২৪ দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার গৌরীপুর (পূর্বপাড়া) গ্রামের সানাউল্লাহর (৭০) বাড়ির পাশে থাকা গাছ বেয়ে দেওয়াল টপকে অজ্ঞাতনামা ৭-৮ জন মুখোশধারী বাড়ির ভেতরে ঢোকে। এরপর রান্নাঘরের দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে ঢুকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে মো. সানাউল্লাহ ও তাঁর স্ত্রীকে জিম্মি করে আলমারি, ওয়ার্ডরোব ও শোকেস ভেঙে সাড়ে ৭ লাখ টাকা, সাত ভরি স্বর্ণালংকারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতেরা। এ ঘটনায় সানাউল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন (লালপুর থানার, এফআইআর নং-১, তারিখ- ১ জুলাই, ২০২৪; জি আর নং-২৪০)।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, ঘটনার পরপরই তিনিসহ নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মো. একরামুল হক (পিপিএম) ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও তদন্ত শুরু করেন। পরবর্তীতে নাটোর জেলার পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলামের (পিপিএম) সার্বিক দিকনির্দেশনায় বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শরীফ আল রাজীবেরে (পিপিএম-সেবা) সরাসরি নেতৃত্বে লালপুর থানা পুলিশ প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার ঘটনার সাথে জড়িত আসামী মো. তৈয়ব আলী প্রামানিককে গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেওয়া তথ্য মোতাবেক ঘটনার মূল আসামী মো. আলমগীর হোসেন আলম ও মো. রানাকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য মোতাবেক চোরাইকৃত মালামাল মোবাইল ফোন, ২টি সোনার চেইনসহ ঘটনার কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি গাড়ি, জিআই পাইপ, লোহার রড, একটি হাতুড়ি ও একটি স্ক্রু ড্রাইভার উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই ২০২৪) আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে নাটোর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

স্বত্ব: নিবন্ধনকৃত @ প্রাপ্তিপ্রসঙ্গ.কম (২০১৬-২০২৩)
Developed by- .::SHUMANBD::.