নাটোর প্রতিনিধি :
নাটোরের লালপুরে কল্পনা রানী সাহা (৬৪) নামে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকাতে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
রোববার (১৪ জুলাই ২০২৪) দুপুরে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেখা গেছে।
আহত ওই নারী উপজেলার উত্তর লালপুর (পুরাতন বাজার) গ্রামের ঢাকা জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি বীরেন্দ্রনাথ সাহার (৭৩) স্ত্রী। তিনি লালপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছেন।
মামলার এজাহার ও আইনজীবি বীরেন্দ্রনাথ সাহা সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুলাই বিকেলে উপজেলার রামানন্দপুর গ্রামের মো. জীবন হোসেন ও মো. শরিফুল ইসলাম পরিচয় দিয়ে দুজন তাঁর (বীরেন্দ্রনাথ সাহা) খোঁজে এসে বাড়ির মেইনগেট খোলার জন্য অনুরোধ করলে স্ত্রী কল্পনা রানী সাহা রাজি হননি। প্রয়োজনের কথা জিজ্ঞাসা করলে মামলার বিষয় নিয়ে মোবাইল কথা বলে উচ্চ আদালতে থাকা মামলার ফাইলের সন্ধান চায়। তারা মিথ্যা মামলার তথ্য চেয়ে পরিবারের লোকজনদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে।
গত ৯ জুলাই ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে তাঁর স্ত্রী স্ত্রী কল্পনা রানী সাহা বসতবাড়ির ভেতর উঠানে ঝাড়ু দেওয়াকালে পেছনের প্রাচীর টপকে বাড়িতে ঢোকে পড়ে। এ বিষয় জিজ্ঞাসা করলে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে তাদের হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কল্পনা রানী সাহার মাথার ডানপাশে, উপরে, বাম পাশে ও পিছন পাশে কুপিয়ে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। বাম হাত দিয়ে ঠেকানোর সময় বাম হাতের কবজির উপরে লেঘে রক্তাক্ত জখম হয়। এরপর এলোপাথারীভাবে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে সমস্ত শরীরে ছিলাফোলা ও কালোশিরা জখম করে। এ সময় স্ত্রী কল্পনা রানী সাহা ডাক-চিৎকার করলে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন এসে উদ্ধার করে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক আহতের মাথায় মোট ১০টি সেলাই ও হাতে ২টি সেলাই দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় আহতের স্বামী বীরেন্দ্রনাথ সাহা বাদি হয়ে নামীয় দুজনসহ অজ্ঞাত ২/৩ জনের নামে থানায় মামলা করেছেন। ইতিমধ্যে সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করা হলে তারা দোষী নয় বলে বাদি পক্ষ শনাক্ত করেন। পুলিশ প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। শীঘ্রই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।