মঙ্গলবার | ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ | ২ আশ্বিন, ১৪৩১

আনন্দ সিনেপ্লেক্স ভাংচুর ও লুটপাট

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় পেক্ষাগৃহ নাটোরের গুরুদাসপুরের আনন্দ সিনেপ্লেক্সে ভাংচুর ও লুটপাট করার ঘটনা ঘটেছে। ভেঙে ফেলা হয়েছে সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, লুটপাট করা হয়েছে কম্পিউটার, প্রজেক্টর, আসবাবপত্রসহ গুরুত্বপুর্ণ মালামাল।
বৃহস্পতিবার দিবগত রাত সাড়ে সাতটা থেকে সাড়ে দিকে উপজেলা পৌর সদরের চাচঁকৈড় গিয়াসের মোড়ে অবস্থিত আনন্দ সিনেপ্লেক্সে ওই ঘটনা ঘটে। এই পৃক্ষগৃহর মালিকের নাম আনিসুর রহমান। তিনি চাচঁকৈড় গাড়িসা এলাকার বাসিন্দা ও দৈনিক প্রথম আলো’র গুরুদাসপুর উপজেলা প্রতিনিধি।

এ দিকে রাতেই সিনেপ্লেক্সটি রক্ষা’র দাবিতে “জাজ মাল্টিমিডিয়া’র” ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়। সেখানে বলা হয়,‘আনন্দ সিনেপ্লেক্স গুরুদাসপুর নাটোর সিনেমা হলটি ভাংচুর চলছে এখন। সবাইকে এই সিনেমা হলটি রক্ষা করার অনুরোধ জানাচ্ছি। এমনিতেই আমাদের চলচ্চিত্রের অবস্থা খারাপ। তারপর একের পর এক সিনেমা হল ধ্বংস করা হচ্ছে। কারা করছে সিনেমা হল ধ্বংস? কি চাচ্ছে তারা? আমরা কি এমন স্বাধীনতা, এমন দেশ চেয়েছিলাম?’ এছাড়াও গত কয়েকদিনের যেসকল জায়গায় সিনেমা হল ভাংচুর লুটপাট হয়েছে সেগুলোও উল্লেখ্য করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধার পর থেকেই “আনন্দ সিনেপ্লেক্সের” চারপাশ দিয়ে কিছু মানুষকে ঘরতে দেখাযায়। এরপর সন্ধা সাড়ে সাতটার দিকে দেশীয় অস্ত্র হাতে একদন সন্ত্রাসীরা সিনেপ্লেক্সের মূল ফটকের তালা ভেঙে প্রবেশ করে। একের পর এক স্থাপনা গুলো ধ্বংস করতে থাকে কিছু মানুষ। অপরদিকে কিছু মানুষ সিনেপ্লেক্সের গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্র, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রজেক্টটরসহ সিনেপ্লেক্সে থাকা সকল মুল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে চলে যায়। প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপি চলে এই তান্ডব।
নাইম হোসেন নামের এক যুবক বলেন, আনন্দ সিনেপ্লেক্স পৃক্ষাগৃহটি জেলার একমাত্র সিনেমা হল। এখানে দুর-দুরান্ত থেকে বিনোদন প্রেমীরা সিনামা আসত। পৃক্ষাগৃহ কেন্দ্রিক কিছু মানুষেরও জীবন-জীবিকা নির্বাহের পথ হয়ে ছিলো। কিন্তু দুর্বৃত্ত¡রা এমন ভাবে ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়ে গেলো। আমরা তো এমন দেশ চাইনি।

সিনেপ্লেক্স ভাংচুর ও লুটপাটের কারনে প্রায় ৩৫-৪০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবি করে আনিসুর রহমান বলেন, আমি একজন গণমাধ্যমকর্মী। কোন ধরনের রাজনৈতিক দলের সাথে তার সম্পৃক্ততা নেই। বিনোদন প্রেমী মানুষদের জন্য তিনি অনেক কষ্টে ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে সিনেপ্লেক্সটি তৈরি করে ছিলাম। প্রায় ৭ বছর যাবৎ এই সিনেপ্লেক্সেটিকে নিজের সন্তানের মত করে আগলে রেখেছি। ভাংচুর ও লুটপাটের সময় প্রশাসনের কোন ধরনের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এমনকি স্থানীয়রাও কোন ধরনের সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেনি।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ উজ্জল হোসেন বলেন, পুলিশের কর্মবিরতি চলছে। অতি শিগ্রই কার্যক্রম চালু হবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

স্বত্ব: নিবন্ধনকৃত @ প্রাপ্তিপ্রসঙ্গ.কম (২০১৬-২০২৩)
Developed by- .::SHUMANBD::.