নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা :
রাজধানী ঢাকার মুগদা এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে একই পরিবারের ১ জন নিহত ও ২ জন আহত হওয়ার ঘটনায় জড়িত অন্যতম আসামি মো. আব্দুর রহিম (২৬) ও সীমান্ত হোসেন রাহাতকে (২১) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সন্ধ্যায় মুগদা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৩।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ঢাকার মুগদার জিন্নু মিয়ার ছেলে মো. রহিম হোসেন ও রহিম উদ্দিনের ছেলে সীমান্ত হোসেন রাহাত। তারা রাজধানীর মুগদা থানাধীন উত্তর মান্ডার প্রধান সড়ক এলাকায় চাঞ্চল্যকর আশিক এলাহী সাকিলকে (২৮) কুপিয়ে হত্যা ও তার সহোদর আশিক পারভেজ সুজন (৩৮) ও মো. শামস্কে (২৪) কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দয়েরকৃত হত্যা মামলার অন্যতম আসামি।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া অফিসার) মোহাম্মদ ফয়জুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও মামলার সূত্রে জানা যায় যে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রাত ১০টার দিকে মুগদা থানাধীন উত্তর মান্ডার প্রধান সড়কের পাশে মেঘু ব্যাপারী জামে মসজিদের সামনে গ্যাস সিলিন্ডার পরিবহনকৃত একটি গাড়ি পার্কিং করে রাখা হয়। উক্ত গাড়িতে অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তির মোটরসাইকেল ধাক্কা লেগে মোটর সাইকেল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। উক্ত মোটর সাইকেলে মালিক নিহত আশিক এলাহী সাকিলের পিতার দোকানের কর্মচারী মো. খোকনের (৪৫) সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ার এক পর্যায়ে তাকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। পরবর্তীতে মো. খোকনের চিৎকার শুনে আশিক এলাহী সাকিল ও তার দুই ভাই আশিক পারভেজ সুজন (৩৮) ও মো. শামস্ (২৪) এগিয়ে আসলে উক্ত স্থানে আরো ৪০/৫০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি জড়ো হয়। তাদের মধ্যে হতে মুগদা এলাকার বখাটে ও মারামারিতে লিপ্ত থাকা যুবক সীমান্ত হোসেন রাহাত ও মো. রাহিম হোসেন ও তার সহযোগীরা বিক্ষিপ্তভাবে খোকনকে আঘাত করতে থাকে। খোকনকে রক্ষা করতে গেলে আসামী সীমান্ত হোসেন রাহাত ও মো. রাহিম হোসেন ঘটনা স্থলের পাশে থাকা কসাইয়ের দোকান হতে চাপাতি, ছুরি ও রড় নিয়ে নিহত আশিক এলাহী সাকিলের ঘাড়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করলে তাকে রক্ষা করতে গেলে তার দুই ভাই আশিক পারভেজ সুজন ও মো. শামস্কেও কুপিয়ে জখম করলে তাদের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আশিক এলাহী সাকিল, আশিক পারভেজ সুজন ও মো শামস্কে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আশিক এলাহী সাকিলের অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরবর্তীতে আশিক এলাহী সাকিলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত সাড়ে ১১টার দিকে মৃত ঘোষনা করেন। গুরুতর আহত আশিক পারভেজ সুজন বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এই ঘটনায় নিহতের পিতা মো. ওমর ফারুক মুগদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর থেকে ধৃত আসামীরা স্থান পরিবর্তন করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পলাতক জীবন যাপন করে আসছিল।
ধৃত আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।