নিজস্ব প্রতিবেদক, শাবি :
শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি) প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সহ-সম্পাদক গাজী সাদেকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ। একইসাথে এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
রোববার (৬ অক্টোবর ২০২৪) শাবি প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তৌহিদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ ইমাম হাসান মুক্তি এবং বর্তমান কমিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম রুদ্র ও সাধারণ সম্পাদক হাসান নাঈম এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, সমাজের দর্পণ হিসেবে সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। যেকোনো ধরনের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা সবসময় সাহসী ও অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকেন। পত্রপত্রিকায় বস্তুনিষ্ঠ লেখনীর পাশাপাশি চোখের সামনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেই এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেন সাংবাদিকরা। রাজধানীতে সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের কবল থেকে মোটরসাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে সমাজের সচেতন নাগরিক হিসেবে প্রতিবাদী ভূমিকা পালন করে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন সাংবাদিক গাজী সাদেক। এ হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনী প্রক্রিয়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গাজী সাদেক তার কর্মস্থল ঢাকায় দৈনিক যুগান্তরের অফিসের কাজ শেষে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত পৌনে ৯টায় বের হন। বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন যাওয়ার উদ্দেশে কুড়িল বিশ্বরোড় এলাকার প্রগতি ফিলিং স্টেশনের সামনে ফ্লাইওভারের মাথায় রাত সোয়া ১০টায় গাড়ির জন্য অপেক্ষা করেন। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে একজন আরোহী ফ্লাইওভারে উঠছিলেন। ফ্লাইওভার দিয়ে উল্টো পথে আসা সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে (সম্ভবত নাম্বার: গাজীপুর-১২-২২৫২) ৪/৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি মোটরসাইকেলটি চাপা দিয়ে আরোহীর গতিরোধ করে এবং মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সাংবাদিক সাদেকসহ কয়েক পথচারী এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন এবং মোটরসাইকেল আরোহীকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে সহায়তা করেন। মোটরসাইকেল আরোহী চলে গেলে সাদেকের সঙ্গে থাকা পথচারীরাও গাড়িতে উঠে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে ওই সিএনজি থেকে চালকসহ তিন যাত্রী নেমে সাদেককে একা পেয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে। এলোপাতাড়ি কিলঘুষি ও রড দিয়ে পিটিয়ে তাকে আহত করে। এ সময় আরেক পথচারী ঘটনার ভিডিও ধারণ শুরু করলে হামলাকারীরা সাদেককে হুমকি দিয়ে তার মানিব্যাগ নিয়ে পালিয়ে যায়। হামলায় সাদেকের বাঁ হাত, মাথা ও পিঠে লেগে ফোলা জখম হয় এবং তার চশমা ভেঙে যায়।