আমি মোঃ আনারুল ইসলাম, ইন্সট্রাক্টর, ইউআরসি, লালপুর, নাটোরে কর্মরত আছি। গত ১৫-১১-২০২৪ খ্রিঃ “স্পর্শ নিউজ” এর অনলাইন পোর্টালে এবং গত ১৯-১১-২০২৪ খ্রিঃ ‘সাপ্তাহিক হ্যালো ঈশ্বরদী’ পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে “নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ” শিরোনামে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সমূহ সম্পূর্ন ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট। অভিযোগ সমূহের সাথে আমার কোন রকমের সংশ্লিষ্টতা নেই। এ ব্যাপারে আমাকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি বলে যে তথ্য প্রচার করা হয়েছে তা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। অফিসিয়াল কারনেই আমার ফোনটি ২৪ ঘন্টা খোলা রাখতে হয়। কোন ব্যস্ততায় কোন কল রিসিভ করতে না পারলেও পরবর্তীতে তা ব্যাক করতে হয়। তাই আমি নির্বিঘ্নচিত্তে বলতে পারি এহেন সংবাদ প্রচারে আমার সাথে কথা বলার চেষ্টাও করা হয়নি আর এমন সংবাদ প্রচারে দুরভিসন্ধিমূলক। সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে এহেনও নীতি বিরুদ্ধ সাংবাদিকতা সমাজে সাধারণ জনগনের মধ্যে বিরুপ মনোভাব সৃষ্টি করবে। আমার দ্বারা কোন শিক্ষকের সাথে কখনও কোন ধরনের অসদাচরণ হয়েছে বলে আমার মনে পড়ে না। এ বিষয়ে উপজেলার যে কোন শিক্ষকের সাথে আলাপ করলেই বিষয়টির বাস্তবতা পাওয়া যাবে। তাছাড়া পত্রিকায় যে বিষয়ের প্রশিক্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সে বিষয়ে কোন প্রশিক্ষণ আমার অফিসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে উক্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ গত অর্থ বছরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশিক্ষণ ভাতা নিয়ে কোন অভিযোগ থাকলে সে সময় শিক্ষকগণ অভিযোগ করতেন। এ বিষয়ে লালপুর প্রাথমিক শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষক সমিতি যথেষ্ট সচেতন এবং দৃঢ়, সেই সাথে লালপুরের সাংবাদিক ও প্রশাসনসহ সচেতন। আমার অফিসে যে সমস্ত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয় সেখানে শিক্ষকদের যাবতীয় ভাতা ও উপকরণাদী সঠিকভাবে বন্টন পূর্বক তাদের প্রাপ্তী স্বীকার আমার দপ্তরে সংরক্ষণ করা আছে। কোন ধরনের তথ্য উপাত্ত ছাড়াই আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের সংবাদ পরিবেশন করায় আমার পারিবারিক, সামাজিক এবং আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট মহোদয় আমার সম্পর্কে সঠিক তথ্য পরিবেশন করাকে “আমার পক্ষে সাফাই গাওয়া” বলা হয়েছে। পত্রিকায় এ ধরণের ভাষা ব্যবহার করে সরকারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তাকে অসম্মান করা হয়েছে। আমি আমার এবং পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট মহোদয়ের সামাজিক মর্যাদাহানীকর এ সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
মোঃ আনারুল ইসলাম
ইন্সট্রাক্টর, উপজেলা রিসোর্স সেন্টার, লালপুর, নাটোর।