বিশেষ প্রতিনিধি:
বিশ্বের একমাত্র ভাসমান পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র একাডেমিক লামানোসভ উত্তর মেরুর নিকটবর্তী রাশিয়ার চুকোতকা অঞ্চলে অবস্থিত। ২০২০ সালের মে মাসে বানিজ্যিক উৎপাদন শুরুর পর কেন্দ্রটি থেকে ইতোমধ্যে এক বিলিয়ন বা একশো কোটি কিলোওয়াট-ঘন্টা বিদ্যুৎ পেয়েছে অঞ্চলটি। প্রতি বছর বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বৃদ্ধি করা হয়েছে। রসাটমের মিডিয়া উইং থেকে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
রসাটমের অন্তর্ভূক্ত রসএনার্গোএটম কর্তৃক পরিচালিত ভাসমান এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুকোতকা অঞ্চল এবং ইয়াকুতিয়ার চেরস্কি এলাকার ৬০ শতাংশ এনার্জী সরবরাহ করা হচ্ছে।
ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক নাতালিয়া তারাসোভা বলেন, “গত বছরটি আমাদের জন্য ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর মেরু অঞ্চলের কঠিন পরিবেশের মধ্যে আমরা ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম জ্বালানী চক্র সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। আমাদের কাজের একটি বিশেষ দিক হলো, কিছু সংখ্যক কর্মকর্তা স্থায়ীভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্র অঞ্চলে কাজ করলেও অনেকেই পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরবর্তী রুশ মূল ভূখন্ডে কাজ করছেন। কিছু সংখ্যক আবার রোস্টার ভিত্তিক কাজে নিয়োজিত। আমরা প্রথম থেকেই এই অপ্রচলিত কাজের পদ্ধতি অনুসরণ করে আসছি”।
বিশ্বের একমাত্র ভাসমান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পেভেক শহরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। শহরটির পাঁচ হাজার অধিবাসীকে তাপ ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় এই প্রকল্প থেকে। একাডেমিক লামানোসভের দু’টি কেএলটি-৪০ রিয়্যাক্টর স্থাপন করা হয়েছে, প্রতিটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৩৫ মেগাওয়াট। প্রায় এক লক্ষ অধিবাসীর একটি শহরের বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে সক্ষম এই কেন্দ্রটি।
রপ্তানির লক্ষ্যে রসাটম আরও চারটি এজাতীয় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে। প্রতিটির বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা হবে ১০০ মেগাওয়াট এবং ব্যবহৃত হবে আরআইটিএম-২০০এম রিয়্যাক্টর। রিয়্যাক্টরগুলো ৬০ বছর ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম। উল্লেখ্য, এজাতীয় রিয়্যাক্টরগুলো নির্মানে রাশিয়ার সর্বাধুনিক পরমাণু চালিত আইসব্রেকারে ব্যবহৃত রিয়্যাক্টরগুলোকে অনুসরণ করা হয়েছে।