নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) প্রাক্তন উপাচার্য (ভিসি), বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক এম. হাবিবুর রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট ২০২৫) মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শাবি সমাজকর্ম পরিবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাঁকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করা হয়। তিনি ২০০৬ সালে ২৭ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মোহা. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক তাহমিনা ইসলামের সঞ্চালনায় স্মৃতিচারণ মূলক বক্তব্য রাখেন, বিভাগের প্রতিষ্ঠালগ্নের একান্ত সহকর্মী অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস, অধ্যাপক আমিনা পারভীন, অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ, অধ্যাপক সৈয়দা সুলতানা পারভীন, প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী অধ্যাপক শফিকুর রহমান চৌধুরী, অধ্যাপক মোহাম্মদ শামীম খান, ডেপুটি ডিরেক্টর (ডিডি) হেলাল আহাম্মদ প্রমুখ।
অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস বলেন, অধ্যাপক হাবিবুর রহমান ছিলেন একজন মনস্বী অধ্যাপক, দূরদর্শী উপাচার্য। একাধারে তিনি ছিলেন একজন সুলেখক, সমাজবিজ্ঞানী ও গবেষক। শিক্ষা, সমাজের উন্নয়ন, দেশ ও মানবতার উৎকর্ষ সাধনে তাঁর অবদান অপরিসীম। তিনি একজন সৎ ও সাহসী মানুষ হিসেবে ন্যায়ের প্রশ্নে আপোসহীন।
প্রসঙ্গত, প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ১৯৯৭ সালের ২০ জুলাই সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে যোগদান করেন। তিনি শাবিতে প্রফেসর পদে যোগদানের পূর্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৬৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি রাবিতে প্রফেসর পদে নিয়োগ লাভ করেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির কার্যক্রমে তাঁর সরব উপস্থিতি ছিল। এক পর্যায়ে তিনি রাবির শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী বৃহত্তর সিলেটের এ কৃতী সন্তান হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামে ১৯৪২ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে যোগদানের আগে তিনি শাবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন। তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্ম বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা, প্রফেসর, বিভাগীয় প্রধান, রেজিস্ট্রার ও ডিনের দায়িত্ব পালন করেন। প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ২০০২ সালে শাবি থেকে অবসর গ্রহণের পর সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে যোগদান করেন। মৃত্যুর পূর্বপর্যন্ত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাকার্যক্রমে তাঁর যথেষ্ট অবদান রয়েছে। ২০০৬ সালে ২৭ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।