
ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
ঈশ্বরদীতে ডেঙ্গু দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বেসরকারি হাসপাতালে প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত রোগী। অনেকেই পাবনা, রাজশাহী ও ঢাকায় আক্রান্ত রোগী নিয়ে যাচ্ছে। রবিবার (৯ নভেম্বর) থেকে পৌর এলাকায় এডিস মশার লাভা ধ্বংস এবং জনসচেতনতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। গত তিনদিনে ১৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছে। এর বাইরেও হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত সনাক্ত হওয়ার পর সামর্থ্যবানরা রোগী বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আগে থেকে ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ এবং জনসচেতনতার অভাবের ফলে এডিস মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। অক্টোবর মাসে (বর্ষার শেষের দিকে) সর্বাধিক রোগী শনাক্ত হয়, কিন্তু নভেম্বর মাসে (শীত ঋতু ঘনিয়ে আসার সময়) সর্বাধিক মৃত্যু ঘটে। এ ধরনের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ, কারণ উদ্ঘাটন এবং মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করা জরুরী।
ঈশ্বরদী হাসপাতালের আরএমও ডা: শাহেদুল ইসলাম শিশির জানান, ৫০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগী প্রায় শতাধিক। প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হচ্ছে। কেউ কেউ বাইরেও যাচ্ছে। ডেঙ্গু রোগীর সাথে টাইফয়েড আক্রান্ত রোগী সামাল দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা সময় স্বাপেক্ষ। সীমিত সংখ্যক বেড এবং চিকিৎসক দিয়ে কাজ করতে আমরা চরম সমস্যায় পড়েছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান জানান, এডিস মশার উপদ্রব প্রতিরোধে আজ রবিবার থেকে পৌর এলাকায় লাভা ধ্বংসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পৌর এলাকার বাইরেও ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটেছে। ইউনিয়নগুলোতেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেইসাথে জনসচেতনা তৈরীর জন্য কাজ করছি।