রাজনীতিতে মানুষের ভালোবাসা পাওয়ায় আমার বড় প্রাপ্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক এড. তাইফুল ইসলাম টিপু বলেছেন, রাজনীতিতে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। যাদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছি, সেই দলের সমর্থকেরাও লালপুর – বাগাতিপাড়ার স্বার্থে আমাকে ভোট করতে বলছেন। এ এলাকাকে উন্নয়নের রোল মডেল বানাতে ও মানুষের শান্তি প্রতিষ্ঠায় ৪৩ বছর স্বপ্ন দেখেছি। আজ সেই অনুযায়ী কর্মপরিকল্পনা ঠিক করেছি। যে প্রার্থী দলের প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছে সে এলাকার রাস্তার নাম জানে না। অথচ ৩০ সেকেন্ড ধান কাটার ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল করে পুরো এলাকার ধান কাটার ক্রেডিট নিতে চাইছেন। লালপুর – বাগাতিপাড়ার মানুষ ৩০ সেকেন্ডের ধান কাটা ফেসবুক  কামলা চাই না। তারা ২৪ ঘন্টার কামলা চাই। আপনি এসি রুমে আরাম আয়েশ করেন। আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু লালপুর বাগাতিপাড়ার মানুষের ভাগ্য নিয়ে তামাশা করার সুযোগ আপনাকে দেয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর, ২০২৫) সন্ধ্যায় নাটোরের লালপুর উপজেলার উধনপাড়া – রহিমপুর গ্রামে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রচারণায় এসব মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় তিনি আরও বলেন,  লালপুর বাগাতিপাড়ার মানুষকে শান্তিতে বসবাস, ব্রিজ, কালভার্ট ও রাস্তা নির্মাণ, বরেন্দ্র প্রকল্প চালু ও কৃষির বহুমুখী উন্নয়ন, শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান, গরিব শ্রমিক, রিক্সা ও ভ্যানচালকদের ভাগ্য উন্নয়ন, বাজার ঘাটের আধুনিকায়ন, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির ও শ্মশানের উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা সাজিয়েছি। দীর্ঘ ৪৩ বছর আপনাদের সাথে রাজনীতি করেছি, বিপদে-আপদে পাশে থেকেছি, বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছি,  কখনো কোন টাকা গ্রহণ করিনি, ভবিষ্যতেও করবো না। সারা বাংলাদেশের কোন মানুষ বলতে পারবে না, টিপু কাজ করে দিয়ে বিনিময়ে টাকা নিয়েছে।
টিপু আরও বলেন, দলের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়েছি, শরীরের রক্ত ঝরিয়েছি, জেল জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছি, তবুও কারো প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই। যারা আমার বিরোধিতা করছে তাদের প্রতিও আমার কোন অভিযোগ নেই। বিরোধিতা করা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার।
এ সময় তিনি নিজেকে খালেদা জিয়ার সন্তান হিসেবে সকলের কাছে বিএনপি চেয়ারপারসনের জন্য রোগ মুক্তির দোয়া কামনা করেন। তিনি আরো বলেন, এক এগারোতে শুধু খালেদা জিয়া নয়, আমরা অন্য দলের নেত্রীকে বাঁচানোর জন্যও যুদ্ধ করেছিলাম। ফখরুদ্দিন ও মইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম। এ সময় তিনি সাধারণ মানুষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সকলের কাছে নিজের জন্য ভোট কামনা করেন তিনি।
এ সময় তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র নির্বাচন করার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের কারো প্রতি কোন বিরোধ নেই। যে যার মত দল করছে, তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু যে আমার পক্ষে ভোট করছে তাকে যদি কেউ হুমকি দেয়, তাহলে সে যেই হোক আমি বসে থাকবো না।
এ সময় তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, যারা এক সময় আওয়ামী লীগের নেতার পক্ষে মঞ্চে ভোট চেয়েছে, যে নেতার বিরুদ্ধে কথা বলেছে, সেই নেতার মেয়ের পিছনে আজকে তিনি ঘুরছেন। কিসের বিনিময়ে ঘুরছে এমন এমন প্রশ্ন তুলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, লালপুর বাগাতিপাড়ার হামলা মামলার শিকার নির্যাতিত ত্যাগী কোন নেতাকে মনোনয়ন দিলে আমি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে তার পক্ষে কাজ করব। কিন্তু বাইরের কোন মানুষকে মেনে নেব না।

সম্পাদনা : রাশিদুল ইসলাম রাশেদ /উপসম্পাদক /প্রাপ্তি প্রসঙ্গ