নাটোর প্রতিনিধি :
সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নাটোর-৪ আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. আলাউদ্দিন মৃধা। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমাঝোতা হওয়া জাতীয় পার্টির ২৬টি আসনের মধ্যে নাম না থাকায় অভিমানে লাঙ্গল ও মাঠ বয়কট করার ঘোষণা দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর ২০২৩) বড়াইগ্রামের বনপাড়ায় উপজেলা জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে তিনি এই ঘোষণা দেন।
তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী ও নাটোর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি।
মো. আলাউদ্দিন মৃধা বলেন, ‘ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ নাই, সুষ্ঠুভাবে প্রচারণা চালানো যাচ্ছে না। আবার দলের মধ্যেও বিভেদ রয়েছে। দল থেকে যেভাবে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি ছিল সেটাও নাই। এদিকে আমার মনোনয়ন বৈধ। তাই ভোটতো পড়বে। এ অবস্থায় নির্বাচন করলে দুই থেকে তিন হাজারের বেশি ভোট পাওয়া যাবে না, যা হবে লজ্জার। তাই, সময় থাকতেই প্রত্যাহার করে নিলাম।’
তিনি আরও বলেন, আমি মানসিক যন্ত্রণা নিয়ে ভালো আছি। পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপির সঙ্গে আমি বিভিন্ন সময় কথা বলে নিশ্চিত হয়েছিলাম নাটোর-৪ আসনটি আমাকে দেবেন। কিন্তু সদ্য যোগ দেয়া কিছু অবসরপ্রাপ্ত আমলা পার্টির চেয়ারম্যানকে ভুল বুঝিয়ে ও ব্লাকমেইল করে আমার সংসদীয় আসন বাদ দিয়ে এর বিপরীতে অন্য আসন নিয়ে নিয়েছেন। পার্টির নীতি নির্ধারকরা আমার সঙ্গে অন্যায় করেছেন, আমাকে ছোট করেছেন।
উপস্থিত ছিলেন নাটোর জেলা জাতীয় প্রার্থীর সাধারণ সাধারণ সম্পাদক রকিব উদ্দিন কমল, জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি আবদার রহমান, সহসভাপতি আব্দুর রশিদ বাবু, গুরুদাসপুর উপজেলা সভাপতি আব্দুস সামাদ, বড়াইগ্রামের সভাপতি জালাল উদ্দিন ও প্রবীণ নেতা তরুণ কুমার সহাসহ অন্তত ১৫ নেতা।
এ বিষয়ে বনপাড়া পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ভোটের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন আমাদের প্রার্থী।’
জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু রাসেল বলেন, ‘জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে প্রচারণায় বাধা দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানা নাই। আবার বাধা দেওয়া হয়েছে, এমন কোনো অভিযোগ আসে নাই।’ ইতিমধ্যে আসা অভিযোগগুলো নিষ্পত্তির চেষ্টা চলছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।