নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বাধীনতার ৫২ বছরে এই প্রথম লালাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগে একজন ব্যারিস্টার নিযুক্ত হলেন। সম্প্রতি লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটিতে দেখা গেছে ব্যারিস্টার জাকারিয়া হাবিবের নাম। ব্যারিস্টার জাকারিয়া হাবিব বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন অ্যাডভোকেট এবং যুক্তরাজ্যের দা অনারেবল লিঙ্কনস ইন এর একজন গর্বিত সদস্য। তিনি যুক্তরাজ্যের দা চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অফ আরবিটেটর্স এর একজন অ্যাসোসিয়েট।
উপরন্তু তিনি বাংলাদেশের ঢাকা ট্যাক্স বার অ্যাসোসিয়েশান, ঢাকা বার আইনজীবী সমিতি এবং বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টার এর একজন সদস্য। ব্যারিস্টার জাকারিয়া হাবিব যুক্তরাজ্যের স্বনামধন্য দা সিটি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন ‘ল’ অর্জন করেন। এই ইউনিভার্সিটি থেকে জগদ্বিখ্যাত নেতা মহাত্মা গান্ধী, জহুরাল নেহেরু, জুলফিকার আলী ভুট্ট, মার্গারেট থেচার ও আরও অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিগণ অধ্যয়ন করেছেন।
এছাড়াও জাকারিয়া হাবিব যুক্তরাজ্যের বিপিপি ইউনিভার্সিটি লন্ডন থেকে এল.এল.এম ও এল.এল.বি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের দা ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে ডিপ্লোমা ইন ল. ডিগ্রি অর্জন করেন। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খেত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ইন আই আর ডিগ্রি অর্জন করেন। যুক্তরাজ্যে থাকা অবস্থায় রাজনৈতিকভাবে ব্যারিস্টার জাকারিয়া হাবিব যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগে একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সক্রিয় কর্মী ও সমর্থক ছিলেন। পড়াশোনার ফাঁকে যখনই সুযোগ পেতেন তখনই তিনি বিভিন্ন দলীয় প্রোগ্রামে যোগ দিতেন।
দেশে ফিরেও তিনি বঙ্গবন্ধু আইন ছাত্র পরিষদ এর কেন্দ্রীয় কমিটি এর দপ্তর সম্পাদক এর দায়িত্ব পান এবং আইন অঙ্গনে সাদা প্যানেলের হয়ে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। এছাড়াও তিনি যুক্তরাজ্যে থাকাকালীন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেন এবং তিনি দুই বার পবিত্র ওমরাহ পালন করেন।
ফ্রান্স, ইতালী, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ড, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া তুরস্ক, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, ভুটান, নেপাল সহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন। উচ্চ শিক্ষিত ও সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী ব্যারিস্টার জাকারিয়া হাবিবকে পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। তাদের মধ্যে অনেকেই বলছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে উচ্চ শিক্ষিত স্মার্ট যুবকদের সুযোগ দেওয়া উচিত।
এ জন্য ব্যারিস্টার জাকারিয়া হাবিবকে উপজেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত করায় দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার জাকারিয়া হাবিব বলেন, আমি জন্মগতভাবেই আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান।এই লালপুরের কাদামাটিতেই আমার বেড়ে উঠা। এজন্য এই মাটির প্রতি আমারও দায়বদ্ধতা আছে। আওয়ামী লীগ সব সময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাকে মানুষের সেবা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন।
শিশুকালেই লালপুরের অলিতে গলিতে জয় বাংলা স্লোগান দিয়েছি। ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতাম ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ার। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুধামুক্ত দেশ গড়ার পাশাপাশি এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। আমি তার ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে আমাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের যে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সেই দ্বায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করবো। আমার বাবা মরহুম হামিদুল ইসলাম সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে দেশের জন্য কাজ করেছেন। তিনি বাংলাদেশ পুলিশ নাটোর শহরে সদর সার্কেল অফিসার হিসেবে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৩ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ২০০৫ এ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি রাজশাহী স্পেশাল ব্রাঞ্চে কর্মরত ছিলেন। আমার বাবা দীর্ঘ বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে অসংখ্য মানুষ ও সহকর্মীর ভালোবাসা অর্জন করেছিলেন ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে মনে প্রাণে ভালোবেসে দলের কর্মীদের বিপদে আপদে পাশে থাকতেন। আমিও বাবার মতোই সারাজীবন আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবেই দেশের মানুষের পাশে থাকতে চাই।