নাটোর প্রতিনিধি :
২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর সংগঠিত নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও জুলাই ২০২৪ অভ্যুত্থানে গণহত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘জামায়াত একটি আধুনিক মানবিক রাষ্ট্র কায়েম করতে চায়। নারীরা পূর্ণ নিরাপত্তা ভোগ করবে। অমুসলিমরা মুসলিমদের পাশাপাশি সমান নাগরিক সুবিধা পাবে।’
বুধবার (৩০ অক্টোবর ২০২৪) বিকেলে নাটোরের লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে সমাবেশে উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি হাফেজ আফজাল হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা জামায়াতের আমির ড. মীর নূরুল ইসলাম, অধ্যাপক ইউনুস আলী, অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসাইন খান, সেক্রেটারি অধ্যাপক সাদেকুর রহমান, সহকারী জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক আব্দুল হাকিম ও আতিকুল ইসলাম রাসেল।
অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আমির এ কে এম আফজাল হোসেন, উপজেলা সেক্রেটারি মাওলানা সাইফুল ইসলাম, অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহাব প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার অসংখ্য নিরপরাধ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছে। তাদের শাসনের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বললেই বিরোধীদের ওপর নেমে এসেছে নির্যাতন, মিথ্যা মামলা ও জেল-জুলুম।
মাওলানা রফিকুল বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষের কণ্ঠরোধ করেছে। ৫৭ জন বিডিআর কর্মকর্তাকে হত্যা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের গুম ও হত্যা করেছে। এমনকি ট্রাইব্যুনালের বিচারের ক্ষেত্রেও বিচারকদের ওপর চাপ প্রয়োগ করে রায় ঘোষণা করানো হয়েছে।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, জামায়াতের সাবেক আমীর শহীদ মতিউর রহমান নিজামীকেও মিথ্যা ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পাপ এতটাই বেড়েছে যে, তাদের অনেকে ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তবে এসব খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার করতে হবে। আমাদের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহ্বান, দ্রুত এই খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে যথাযথ বিচার প্রক্রিয়া শুরু করুন।