নিজস্ব প্রতিবেদক :
হাসিনার পতনের পর রাজপথ ছেড়ে দেওয়ার কারণে আধিপত্যবাদী ভারত দেশকে অস্থিতিশীল করতে নানা অস্থিরতা তৈরি করছে। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর তরুণদের রাজপথে সোচ্চার থাকার তাগিদ দিয়েছেন আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) সন্ধ্যায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্যবাদ বিরোধী জাতীয় কনভেনশন এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিপ্লবী সাংস্কৃতিক মঞ্চ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত কনভেনশনে উপস্থিত ছাত্র শিক্ষক ও সুধিজনের নানা প্রশ্নের জবাবে আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশের পর হাসিনা ও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কবর রচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ৩২ নম্বর বাড়ি ছাত্র-জনতা ইতিহাসের অমোঘ নিয়মে ভেঙে দিয়েছে, কেননা সেখানে মুজিববাদের মন্দির বানানো হয়েছিল। এই ঘটনার মাধ্যমে আবারো প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পুনর্বাসনের কোনো সম্ভবনা নেই।
মাহমুদুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ কতটা নির্লজ্জ ও বেহায়া হলে নিউইয়র্কে মোদিকে স্বাগত জানিয়ে বলতে পারে, আমাদের বাঁচান। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ মুজিবের ছবি প্রণাম করা শিখিয়েছে। ছাত্র তরুণরা সাহসের সাথে ৫ আগস্টের পর হাসিনা ও তার বাবাকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে।
ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, সব দল ঐক্যবদ্ধ হলে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম সফল হবে এটাই প্রমাণিত হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের পর ফ্যাসিবাদের কোনো চিহ্নই বিশ্বের কোনো দেশে রাখা হয়নি। সুতরাং বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট শক্তির কোনো কিছুই থাকবে না। জুলাই বিপ্লবীদের নতুন শক্তিতে বলিয়ান হতে হলে জ্ঞান ভিত্তিক লড়াই অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন তিনি।
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদী বলেন, জুলাই বিপ্লবের ছয় মাস পার হলেও আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক লড়াই এ বিপ্লবের গান, কবিতা, নাটক তৈরি করতে পারি নাই। দেশের রাজনীতি কি হবে তা ঠিক করে দেয় সংস্কৃতি। আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক লড়াইটা ঠিক করতে না পারলে আধিপত্য বাদ বিরোধী লড়াই চালিয়ে যেতে পারবো না। তরুণ ছাত্র যুবকদের রাস্তার লড়াইয়ের পাশাপাশি লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুত্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ কনভেনশনে সভাপতিত্ব করেন বিপ্লবী সাংস্কৃতিক মঞ্চ শাবিপ্রবি শাখার উপদেষ্টা আহমদ ইমরান হাসান লস্কর। বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিষ্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্ণেল সৈয়দ আলী আহমদ, ইনকিলাব মঞ্চের আহবায়ক শরীফ ওসমান বিন হাদী, এম তানজিদ হাসান প্রমুখ।