নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরে হাফেজ সাইদুল ইসলাম (৩৮) নামে এক মাদ্রাসার শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে হাতুড়িপেটা করেছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর ২০২৩) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত মাদ্রাসা শিক্ষক নাটোর সদর উপজেলার মাঝদিঘা পূর্বপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে। তিনি মাঝদিঘা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মী।
পুলিশ ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, সাইদুল মাঝদিঘা মসজিদে মাগরিবের নামাজ পড়ে কোরআন তিলাওয়াত করছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে মুখোশধারী ছয়-সাতজন দুর্বৃত্ত তাঁকে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনসহ তাঁর সহকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে থানা-পুলিশকে খবর দেন। রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে নাটোর-নলডাঙ্গা সড়কের চিকুর মোড়ে ওই ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা এ খবর পান। পরে তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, সন্ধ্যার পরে এলাকায় একটি সভা করার সময় তিনি সাইদুল ইসলামকে তুলে নিয়ে যাওয়ার খবর পান। পরে খোঁজখবর নিয়ে চিকুর মোড় থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর হাত-পায়ে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সাইদুল ইসলাম নামে একজনকে তুলে নিয়ে গিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করলে ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে বিচারের আওতায় আনা হবে।
গত এক মাসে নাটোরের চার উপজেলায় ১০ জনকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে, হাত-পায়ের রগ কেটে, গুলি করে গুরুতর জখম করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন বিএনপি ও দুজন যুবদলের নেতা, ছয়জন জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মী-সমর্থক এবং একজন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কর্মী। ওই হামলার ঘটনার ছয়টি নলডাঙ্গা, দুইটি নাটোর সদর, সিংড়া ও লালপুর উপজেলায় একটি করে ঘটেছে।